Is the Hundi market a scapegoat?
November 20, 2022
ইতিহাস পাঠ্যপুস্তকে বাংলার ইতিহাস চাই
January 11, 2023

অর্থনীতিতে বিশ্লেষণ পদ্ধতি ও ব্যক্তি বিশ্লেষকের মতাদর্শ

ড. সাজ্জাদ জহির |
বণিক বার্তা |
ডিসেম্বর ০২, ২০২২ |

১৯৭০-এর দশকে আমি যখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র, মতাদর্শকেন্দ্রিক আলোচনা ও তার ভিত্তিতে বিভাজন তখন তুঙ্গে। ফিরে তাকালে বুঝি, শিক্ষাঙ্গনে বিষয়ভিত্তিক বিভাজনের মাত্রাও সে সময় থেকে বৃদ্ধি পেতে শুরু করে, যার বিভাগভিত্তিক বিভাজন হতে আশি বা নব্বইয়ের দশক পর্যন্ত লেগেছিল। নব্বইয়ের দশককে এ পরিবর্তনের উত্তরণকাল হিসেবে গণ্য করলে নিশ্চিতভাবেই বলা যায় যে প্রথম দুই দশকের সমাজবিজ্ঞানবিষয়ক জ্ঞানচর্চায় অনেক বেশি দর্শন, ইতিহাস, রাজনীতি ও মতাদর্শের সম্পৃক্ততা ছিল। সে সময়ে জ্ঞানচর্চায় গোঁড়ামি এমন পর্যায়ে পৌঁছেছিল যে অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের বিভিন্ন শাখার সঙ্গে কোনো না কোনো মতাদর্শের যোগসূত্রতাকে স্বতঃসিদ্ধ মনে করা হতো। আজকের (২০২২-২৩) তরুণ ছাত্রছাত্রী, যারা সংখ্যারূপী তথ্য বিশ্লেষণের নানা উপায় শিখে অনেক সময় ইকোনমেট্রিকসকেই অর্থনীতি বিষয় হিসেবে গণ্য করে, তাদের কাছে সেদিনকার তরুণদের এ জাতীয় সরলীকরণ হাস্যকর মনে হতে পারে। কিন্তু ওই মতাদর্শের টানেই অনেকে সমাজের চাকাগুলো এগিয়ে নিয়েছিল এবং সে প্রক্রিয়ায় নিজেদেরও জ্ঞান ও দক্ষতায় সমৃদ্ধ করেছিল।

এ নিবন্ধে দুটো প্রশ্ন উত্থাপন করা হয়েছে গবেষণার লক্ষ্য ও গবেষণা পদ্ধতি নিয়ে। লক্ষ্য স্থির না হলে গবেষণাকর্মের মূল্যায়নের কোনো মাপকাঠি থাকবে না। অন্যদিকে কেউ কেউ নিজের পছন্দমতো লক্ষ্য চিহ্নিত করে বিশ্লেষণে স্বেচ্ছাচারিতার প্রশ্রয় দিতে পারেন। দুটো প্রেক্ষিত থেকে গবেষণা পদ্ধতি আলোচনায় প্রাসঙ্গিক: (ক) অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে যেসব তত্ত্বকাঠামো রয়েছে, সেসবের মাঝে সর্বোত্কৃষ্ট কোনটি? (খ) আমাদের দেশের বিবিধ সমস্যার অর্থনৈতিক বিশ্লেষণের জন্য উপযোগী তত্ত্বকাঠামো কোনটি? লক্ষণীয় যে ‘সর্বোত্কৃষ্ট’ অথবা ‘উপযোগী’, লক্ষ্যবিহীনভাবে নির্ধারণ সম্ভব নয়। সে কারণেই গবেষণার লক্ষ্য ও পদ্ধতি বিষয় দুটোকে একসঙ্গে উত্থাপন করা হয়েছে।

বিগত বছরগুলোয় (১৯৮১-৮৬) গবেষণাক্ষেত্রে ব্যাপকভাবে কনসালট্যান্সি ব্যবসা দৃষ্ট হওয়ায় অনেকের মনেই সন্দেহ দেখা দিয়েছে। কারো কারো মতে এটি ঢালাওভাবে তথ্য পাচারের প্রক্রিয়া। আবার কারো মতে, বিদেশী অর্থপ্রবাহের এ আধিক্য এ দেশের মেধাশক্তিকে ‘বিপথে’ পরিচালিত করছে। দুটো ক্ষেত্রেই কিছু সত্যতা নিহিত রয়েছে। প্রথমত, তথ্যনির্ভরশীল যেকোনো গবেষণাই প্রকাশ হলে তা ব্যবহারের (যেমন নীতিমালা প্রণয়ন বা গ্রহণের জন্য) কোনো পেটেন্ট ক্ষমতা গবেষকদের নেই। অতএব গবেষণা নামক উৎপাদন প্রক্রিয়ায় তথ্য পাচার হবে। তবে তার মাত্রা এবং আদতেই সেটা ক্ষতিকর কিনা নির্ভর করে গবেষকদের সচেতনতা এবং গবেষণায় অর্থ জোগানকারী সংস্থার সঙ্গে গবেষকদের দরকষাকষির ফলাফলের ওপর। দ্বিতীয়ত, গবেষকদের প্রয়োজনীয়-অপ্রয়োজনীয় আর্থিক চাহিদা মেটানো ছাড়াও গবেষণাকর্মে অর্থের প্রয়োজন। স্বভাবতই গবেষণার বিষয়বস্তু অধিকাংশই অর্থ জোগানকারী সংস্থার পছন্দ-অপছন্দে নির্ধারণ হবে। বিষয়টি স্বচ্ছতর হবে যদি গবেষণাকর্মকে সার্ভিস হিসেবে গণ্য করা হয়। আর পাঁচজন সেবা-সরবরাহকারীর ন্যায় গবেষকরা বাজারের চাহিদা অনুযায়ী গবেষণাকর্ম বেছে নেন। কোনো বিশেষ নিরিখে মেধাশক্তির বিপথে পরিচালিত হওয়ার কথা উঠলে সমাজের অন্যান্য বহু ক্ষেত্রকে একই দোষে দুষ্ট গণ্য করা যেতে পারে।

বাংলাদেশে (সমাজ) ‘গবেষণাকর্মে’র সক্রিয় বাজারের উদ্ভব গত ১০ বছরের ঘটনা। [অনুমেয় যে নীতি-পর্যায়ে বিদেশী কনসালট্যান্টদের ওপর নির্ভরশীলতা আগে থেকেই ছিল।] বিশেষত গত পাঁচ বছরে (১৯৮১-৮৬) ‘কনসালট্যান্সি’ ধর্মী কাজ ব্যাপকসংখ্যক অর্থনীতিবিষয়ক গবেষকদের জড়াতে সমর্থ হয়েছে। তাই পূর্বের ন্যায় ব্যক্তিস্বার্থ-নিরপেক্ষ বিশুদ্ধ সমাজমুখী গবেষণাকর্ম আশা করা আজ (১৯৮৬-তে) নিতান্তই বাতুলতা। সত্যি বলতে কী, কোনো গবেষণাকর্ম সমাজমুখী, এ ধারণাও ব্যক্তির আশা-আকাঙ্ক্ষা ও পছন্দ-অপছন্দের ওপর নির্ভরশীল। সম্ভবত বর্তমান বাংলাদেশের পরিপ্রেক্ষিতে সমাজকে একক সত্তা হিসেবে চিহ্নিত করা সম্ভব নয় বলেই এ জাতীয় সমস্যার উদ্ভব।

ওপরে বর্ণিত বিশ্লেষণ কাঠামোতে লক্ষ্যের প্রশ্নটিই সম্ভবত অপ্রাসঙ্গিক। কারণ গবেষণাকর্মের বাজারে গবেষক একজন দক্ষ শ্রমিক। বর্তমান বাজারে সীমিত জোগানের কারণে সে, মূলধারা অর্থনীতির ভাষায়, একচেটিয়া মুনাফা বা ঘাটতিজনিত লাভ অর্জন করছে। গবেষণাকর্মের

রূপরেখা নির্ধারিত হবে চাহিদা অনুযায়ী, যা মূলত আসছে বিদেশী ‘সাহায্যদাতা’ (নামধারী ঋণপ্রদানকারী সংস্থা)-এর তরফ থেকে। চাহিদাগুলো মূলত আসছে ঋণ প্রকল্পভিত্তিক। যেমন যমুনা সেতু নির্মাণের পূর্বে প্রযুক্তিগত অনুসন্ধান ব্যতিরেকেও এ প্রকল্পের সুদূরপ্রসারী আর্থিক লাভক্ষতির বিষয়টি বিশ্লেষণ করা হবে। অথবা কোনো বৈদেশিক সংস্থা বস্ত্র শিল্পে বিনিয়োগের জন্য বাংলাদেশ সরকারকে ঋণ দিতে চাইলে তার ঋণ প্রস্তাবে খাতওয়ারি বিনিয়োগের যৌক্তিকতা সংবলিত করতে চাইবে। স্বাভাবিক কারণেই যেসব খাত বৈদেশিক ঋণ/অনুদান পাবে, গবেষণা সেসব বিষয়েই নিবদ্ধ হবে। ঋণ অনুমোদনের আনুষ্ঠানিকতা পূরণ ব্যতিরেকেও এ কাজ বিভিন্ন বিষয়ে তথ্যভাণ্ডারকে সমৃদ্ধ করে, যা ভিন্ন বিশ্লেষণে ব্যবহার সম্ভব। অবশ্য সেজন্য প্রয়োজন কেন্দ্রীয়ভাবে তথ্যাগার সৃষ্টি, যা সব বাংলাদেশী নাগরিকের ব্যবহারের জন্য সদা উন্মুক্ত থাকবে। কম্পিউটারের ব্যবস্থা সম্ভব হলে, এমনকি প্রাথমিক তথ্য সংরক্ষণের ব্যবস্থাও করা যেতে পারে। [উল্লেখ্য, ১৯৮৬ সালে তখনকার শীর্ষ গবেষণাপ্রতিষ্ঠান বিআইডিএসে প্রথমবারের মতো একটি পার্সোনাল কম্পিউটার ক্রয় করা হয়।]

প্রতিটি ব্যক্তির মাঝে যেমন ব্যক্তি ও সমাজ মানসের দ্বন্দ্ব রয়েছে, গবেষকদের মাঝেও তা কম প্রকট নয়। বিশেষত প্রতিনিয়ত সমাজ ও অর্থনীতি নিয়ে গবেষণায় লিপ্ত থাকায় তা অনেকের চাইতে বেশি। [বক্তব্যটি ২০২২-এর প্রেক্ষাপটে প্রযোজ্য নাও হতে পারে।] কিন্তু সমাজ মানসের সুসংবদ্ধ দিকনির্ধারণের মূল দায়িত্ব রাজনৈতিক শক্তির, যা আমাদের দেশে যথেষ্ট প্রজ্ঞার দৃষ্টান্ত রাখেনি। এ পরিপ্রেক্ষিতে ষাটের দশকের শেষের বছরগুলোয় অর্থনীতিবিদদের ভূমিকা স্মরণযোগ্য। এ প্রসঙ্গ অবতারণার মাধ্যমে একজন গবেষকের রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের ভূমিকাকে অস্বীকার করছি না। তবে কমবেশি প্রতিটি ব্যক্তির কাছ থেকেই সে ভূমিকা কাম্য—হয়তো অনুন্নত দেশে সরকারের নিয়ন্ত্রণবহির্ভূত গবেষকদের কাছ থেকে সেটা বেশি আশা করা হয়।

মোটা দাগে দুই ধরনের কর্মকাণ্ডে অর্থনীতিবিষয়ক গবেষকরা লিপ্ত হতে পারেন। প্রথমটি, বিরাজমান সমাজ—অর্থনৈতিক (ও রাজনৈতিক) ব্যবস্থায় বিভিন্ন নীতিমালা ও কর্মকাণ্ডের স্থিতিমূল্যায়ন এবং তার ভিত্তিতে নীতিনির্ধারণে সহায়তা করা অথবা বর্তমান কর্মকাণ্ডে সংস্কার সাধনের দিকনির্দেশ দেয়া। এ জাতীয় গবেষণা সাধারণত ‘সীমিত সম্পদের দক্ষ বণ্টন’-এর আলোকেই করা হয়। তবে দক্ষতার (এফিসিয়েন্সির) মাপকাঠি একদিকে যেমন পূর্বনির্ধারিত, তেমনি বাস্তব বিশ্লেষণে তা নির্ণয়ে ব্যক্তির মূল্যবোধের প্রভাব রয়েছে। দ্বিতীয় জাতের গবেষণা সমাজ ও অর্থনীতির বিবর্তনের দেশভিত্তিক (এবং বৈশ্বিক) পর্যালোচনা। সে জাতীয় গবেষণা পরিবর্তনের (অগ্রগতির) সাধারণ নিয়মাবলি অনুসন্ধানে সচেষ্ট এবং সমাজ অগ্রগতির মৌলিক বাধা চিহ্নিত করে পরিবর্তনের দিকনির্দেশ দিতে পারে। এ দুটো কাজকে সর্বক্ষেত্রে পরস্পরবিরোধী গণ্য করলে একপেশে দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা হবে। কেননা কোনো ক্ষেত্রে একটি কাজ অন্যটির জন্য খোরাক জোগাতে পারে। কিন্তু কোনো নির্দিষ্ট সময়ে এ দুই জাতের কাজের চাহিদা যদি রাজনৈতিকভাবে পরস্পরবিরোধী দুটো ভিন্ন গোষ্ঠীর কাছ থেকে আসে, গবেষণাকর্মকে সেসব গোষ্ঠীর আদর্শের সঙ্গে চিহ্নিত করার প্রবণতা থাকাটাই স্বাভাবিক। দুই ধরনের গবেষণাই জ্ঞানতত্ত্বের বিচারে গ্রহণযোগ্য—কারণ বাস্তব অনুসন্ধানের মাধ্যমে কর্মপন্থা নির্ণয় করা দুটোরই লক্ষ্য। তবে স্থান-কাল বিশেষে কোনো কোনো গবেষণা নির্দিষ্ট রাজনৈতিক গোষ্ঠীর পক্ষে বা বিপক্ষে যেতে পারে। এ মন্তব্য বিশেষত প্রথম জাতের গবেষণার জন্য প্রযোজ্য। কেবল সে আলোকেই কোনো কোনো গবেষণাকে সম্ভবত সমাজমুখী নয় বলে চিহ্নিত করা হয়। তবে আবারো উল্লেখ্য যে ঢালাওভাবে স্থান-কাল নির্বিশেষে এ চিহ্নিতকরণ অযৌক্তিক।

পারিবারিক জীবনে আমরা যেমন লক্ষ্য অর্জনের উপায়কে (নিমিত্ত) জীবনের লক্ষ্য মনে করেই আমরণ কাটিয়ে দিই, তেমনি গবেষণা ক্ষেত্রেও অনেক মোহগ্রস্ত কর্মী রয়েছেন। গবেষণাকর্মের পদ্ধতি উদ্ভাবনের ক্ষেত্রে এসব গবেষকের ভূমিকা যথেষ্ট। সাধারণভাবে প্রতি ধরনের গবেষণাকর্মের প্রাথমিক লক্ষ্য হওয়া উচিত সত্যানুসন্ধান। কিন্তু সত্যেরও নানা রূপ আছে। সেই আপেক্ষিকতাকে ভুলে জগেক স্থির হিসেবে গণ্য করার প্রবণতা আমাদের মাঝে কম-বেশি রয়েছে। এজন্যই উদ্ঘাটিত সত্যের ব্যাখ্যা এবং তার ভিত্তিতে প্রণীত কর্মনির্দেশে তারতম্য দেখা দেয়। অনেক সময় সঠিক বিশ্লেষণ পদ্ধতি না জানা থাকায় অথবা জানা পদ্ধতি প্রয়োগ দুরূহ হওয়ার কারণে সত্যের আপেক্ষিকতার বিষয়টি গুনতির ভেতর আসা সম্ভব নয়। যা-ই হোক, ভিন্ন বিচারে সত্য উদ্ঘাটন কর্মপন্থা নির্ণয়ের নিমিত্ত মাত্র। এবং এক্ষেত্রেই গবেষণাকর্মের ‘সামাজিক মূল্যায়ন’ সম্ভব। কারণ কী বিষয়ের ওপর গবেষণা করা হচ্ছে তার ওপরই নির্ভর করবে গবেষণাটি থেকে প্রাপ্ত ফলাফলের উপযোগিতা। যেমন বাংলাদেশে পুঁজিবাদী বিকাশের ওপর কোনো গবেষণা থেকে সরকারের দাম-নীতিনির্ধারণে পরামর্শ দেয়া সম্ভব নয়। অন্যদিকে পাটের রফতানি বাজারের সম্ভাবনার ওপর কোনো গবেষণা সরাসরি সমাজ পরিবর্তনের পথনির্দেশ দিতে পারে না। দুই জাতীয় গবেষণাই পরস্পরবিরোধী দুটি রাজনৈতিক গোষ্ঠীর নীতিনির্ধারণে কিছু খোরাক জোগাতে পারে এবং সে কারণে আপেক্ষিক উপযোগিতার বিচারে এর কোনো একটিকে লেবাস দেয়ার প্রয়াস একপেশে হবে। উল্লিখিত উদাহরণের ক্ষেত্রে গবেষণাকর্মকে বিষয় নির্বাচনের ভিত্তিতে বিভাজন করা হচ্ছে। কারণ সেটাই গবেষণালব্ধ ফলাফলের ব্যবহারিক ক্ষেত্র বেঁধে দেবে। অবশ্য কোনো কোনো ক্ষেত্রে সত্যের আপেক্ষিকতা বিচারে হেরফের থাকার কারণে একই বিষয়ের গবেষণা থেকে ভিন্নধর্মী কর্মপন্থা নির্ধারণ সম্ভব। উদাহরণস্বরূপ, সম্পদ বণ্টন ও উৎপাদিকার সম্পর্ক। এ জাতীয় গবেষণায় সংগৃহীত তথ্যের ব্যাখ্যাদানে ভিন্নতর পদ্ধতি প্রয়োগের ফলে ভিন্নতর সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া সম্ভব। কিন্তু যেহেতু সম্পদ বণ্টন ও উৎপাদিকার সম্পর্ক সব ধরনের সমাজ কাঠামো ও প্রযুক্তির ক্ষেত্রে একই ধরনের নয়, আপেক্ষিকতা স্বীকার করলে দুই ধরনের ফলাফলই সত্য। স্বভাবতই এ জাতীয় গবেষণার উপযোগিতা নিরূপণে পদ্ধতির ভূমিকা যথেষ্ট। [চলবে]

[‘সমাজ গবেষণা: কিছু প্রাসঙ্গিক ভাবনা’ শীর্ষক মূল নিবন্ধটি ১৯৮৬ সালে বিআইডিএসের উন্নয়ন গবেষণা সমীক্ষায় প্রকাশ হয়েছিল। আজও এর প্রাসঙ্গিকতা থাকায় সামান্য পরিমার্জন ও শব্দ ব্যবহারে পরিবর্তন এনে পুনর্মুদ্রণ করা হলো। বর্তমানের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু বিষয় অধিক গভীরে বোঝার অবকাশ রয়েছে। তাই প্রয়োজন অনুযায়ী রেখাবন্ধনীতে ব্যাখ্যা দেয়া হয়েছে। তবে তিন যুগ আগে যা অনুধাবনের প্রয়োজন ছিল, তা ইতিহাসের পাত্রেই রাখা শ্রেয়। সে কারণে সেদিনকার মৌলিক প্রস্তাবনায় রঙ মাখানো হয়নি।]

. সাজ্জাদ জহির: অর্থনীতিবিদ, নির্বাহী পরিচালক

ইকোনমিক রিসার্চ গ্রুপ (ইআরজি)

Email: sajjadzohir@gmail.com

 

Download

 

Source: https://bonikbarta.net/home/news_description/322342/%E0%A6%85%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%A5%E0%A6%A8%E0%A7%80%E0%A6%A4%E0%A6%BF%E0%A6%A4%E0%A7%87-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A6%A3-%E0%A6%AA%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%93-%E0%A6%AC%E0%A7%8D%E0%A6%AF%E0%A6%95%E0%A7%8D%E0%A6%A4%E0%A6%BF-%E0%A6%AC%E0%A6%BF%E0%A6%B6%E0%A7%8D%E0%A6%B2%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A6%95%E0%A7%87%E0%A6%B0-%E0%A6%AE%E0%A6%A4%E0%A6%BE%E0%A6%A6%E0%A6%B0%E0%A7%8D%E0%A6%B6

 

855