বিদেশী নাগরিকত্বে সংসদের ট্রেডিং হাউজে পরিণত হওয়ার ঝুঁকি
December 20, 2023
‘দ্বৈত নাগরিকত্ব’ নিয়ে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের কাছে আরেকটি খোলা চিঠি
December 20, 2023

ভোট দিতে যাওয়ার পূর্বশর্ত হিসেবে এক নাগরিকের প্রত্যাশা

বণিক বার্তা|

অভিমত |

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩ |

ড. সাজ্জাদ জহির |

অনেকেই, অন্তর্ভুক্তিমূলক না হওয়ার কারণে নির্বাচনের বিরোধিতা করেন অথবা নির্বাচনে ভোট দিতে ইচ্ছুক নন। তারা অন্তর্ভুক্তিকে সংজ্ঞায়িত করেন শুধু রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের পরিপ্রেক্ষিতে। নিবন্ধিত অসংখ্য ‘‌রাজনৈতিক দল’ রয়েছে। সম্ভবত সেই সংজ্ঞায় তাদের সবার অংশগ্রহণ মুখ্য নয়। বরং ‘‌অন্তর্ভুক্তি’র দাবির মধ্যে নিহিত রয়েছে কিছু নির্দিষ্ট দলের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করা। যদি দলের ভূমিকায় মধ্যস্বত্বভোগীর রূপ না থাকত, দলমত নির্বিশেষে এবং সব প্রতিদ্বন্দ্বীর অংশগ্রহণে প্রাপ্তবয়স্কদের ভোটাধিকার প্রয়োগ কার্যকর করা যেত সম্ভবত সেটাই সবচেয়ে আদর্শ ব্যবস্থা হতে পারত। কিন্তু বিশৃঙ্খলার আশঙ্কায় মানবসমাজকে দলবদ্ধ হতে দেখা যায়, যার প্রতিফলন আমরা রাজনীতির অঙ্গনেও দেখতে পাই। একই কারণে ফি বা চাঁদা আদায়কারীর ভূমিকা থেকে দলগুলোকে নিবৃত্ত করা দুরূহ এবং রাজনীতি ও নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে সেসবের প্রভাব থেকে মুক্ত রাখা অধিকতর দুরূহ কাজ। এসবের মাঝে চলমান প্রক্রিয়ায় প্রার্থীদের দেয়া তথ্য জনসমক্ষে উন্মুক্ত করা নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয় উদ্যোগ।

একপেশেভাবে সংজ্ঞায়িত ‘‌অন্তর্ভুক্তিমূলক’ নির্বাচন বা বিমূর্ত গণতন্ত্রের প্রতি অন্ধ ভালোবাসা বা বর্তমান রাজনৈতিক দলগুলোর সীমাবদ্ধতা ঘিরে সংশয়—এদের কোনোটিই ভোট দিতে দ্বিধান্বিত হওয়ার কারণ নয়। বরং প্রার্থীদের ‘বৈধতা’ নিশ্চিত করতে নির্বাচন কমিশনের কার্যক্রমের প্রতি সংশয় থাকায় ভোট দিতে দ্বিধা জেগেছে। একটি বাজারে যেমন ভোক্তাদের সুবিধার্থে সরবরাহ ও পণ্যের গুণগত মান নিশ্চিত করতে সরকারি তৎপরতা দেখা যায়, ভোটার হিসেবে আমরা আশা করি যে নির্বাচন কমিশন সংসদ সদস্য হতে আগ্রহী ব্যক্তিদের বিশদভাবে যাচাই-বাছাই করে যোগ্য প্রার্থীদের ‘‌আইনি’ বৈধতার নিশ্চয়তা দেবে। সংবাদমাধ্যমে জেনে আশান্বিত হয়েছিলাম যে গুটিকতক নির্বাচনী এলাকায় ভিনদেশের নাগরিকত্ব (দ্বৈত নাগরিকত্ব) থাকার কারণে প্রার্থিতা খারিজ করা হয়েছে। অথচ ওয়েবসাইটে দেয়া তথ্য ঘাঁটলে দেখা যায় যে অনেক এলাকায় এ নিয়ম কার্যকর করা হয়নি এবং পর্যাপ্ত যাচাইয়ের জন্য অন্যান্য তথ্যে অসম্পূর্ণতা পাওয়া যায়। তাই ধারণা করা যায়, নির্বাচন কমিশনের ব্যবস্থাপনায় সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রস্তুতিতে ঘাটতি রয়ে গেছে।

546